রোগ প্রতিরোধে খান টক দই
অনেকেই আছেন নিয়মিত টক দই খান। রান্নাতেও ব্যবহার করেন কেউ কেউ। কেউবা খান দুধের বিকল্প হিসেবে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারলে সহজ হবে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই, এই কথা মাথায় রেখে পাতে দই রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা।
বহু রোগে পথ্য হিসেবে দই খেতে বলা হয়। দইয়ে আছে প্রো-বায়োটিক উপাদান অর্থাৎ বন্ধু ব্যাকটেরিয়া। যেগুলো শরীরের মধ্যে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে পরিপাকে সাহায্য করে। ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। এ ছাড়া প্রোটিন, ফ্যাট, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন এ, বি ৬, বি ১২-সহ নানা পুষ্টিকর উপাদানে ভরপুর টক দই।
উপকারিতা
- টক দই শরীরে টক্সিন জমতে দেয় না। ফলে কোষ্ঠ পরিষ্কার থাকে। টক দই শরীরের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। আবার রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএলের মাত্রাও কমিয়ে দেয়।
- টক দই খেলে হজম শক্তি ভাল থাকে। কারণ এটি ভাল ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। আলসারের আশঙ্কাও কমে এর ফলে।
- শরীরের মেদ বৃদ্ধিতে সহায়ক হরমোন তৈরিতেও বাধা দেয় টক দইয়ে থাকা ক্যালসিয়াম। তাই টক দই খেলে বাড়তি ওজন কমার সম্ভাবনাও রয়েছে। একই কারণে রোজ টক দই খেলে দাঁতের গঠনও মজবুত হয়।
কী পরিমাণ খাবেন-
বাড়িতে পাতা টক দই ছোট বাটির এক বাটি খাওয়া যেতে পারে রোজ। অর্থাৎ ১০০ থেকে ২০০ গ্রাম।
রান্নায় ব্যবহার করা টক দইয়ের পরিবর্তে ঘরের টক দইয়ের উপকারিতা বেশি।
ঘরের তাপমাত্রায় রাখা টক দই খাওয়াই ভালো।
কৃত্রিম স্বাদ-গন্ধযুক্ত দই খেলে কোনও উপকার হয় না।
টক দইয়ের সঙ্গে ফল মিশিয়ে স্যালাদ হিসেবে খাওয়া যেতে পারে।
সতর্কতা
দই পাতার পরে ২৪ ঘণ্টার বেশি রাখা থাকলে দইয়ের পুষ্টিগুণ ক্রমশ কমতে থাকে।
ভারতীয় চিকিৎসক রাজর্ষি সেনগুপ্ত বলেন, অনেকেই দুধের বিকল্প হিসেবে টক দই খান। প্রোটিন থাকে বলে তা খুবই উপকারী। করোনা আবহে রোগ প্রতিরোধের জন্য প্রচুর পরিমাণে শাক সবজি খেতে হবে। মাস্ক পরতে হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এক দিনে বেড়ে যায় এমনটা কখনওই নয়, এ কথাও মাথায় রাখতে হবে।
সূত্র- আনন্দবাজার পত্রিকা।
জিএ
মন্তব্য করুন